শ্রীরাম-এর মৃত্যু কিভাবে হয়েছিলো?

ভগবান শ্রী রামে এর মৃত্যুঃ

বহু হিন্দু ধর্মশাস্ত্রে শ্রী রামচন্দ্রের অন্তর্ধানের কথা উল্লেখ আছে। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, শ্রীরামের কিভাবে মৃত্যু হয়েছে? এখানে একটা কথা বলে রাখি, ‘মৃত্যু’ শব্দটি বিষ্ণুর অবতারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। বিষ্ণুর সকল অবতার ধর্ম সংস্থাপন করতে আবির্ভূত হন , তারপর নির্ধারিত কর্ম সম্পন্ন করে বৈকুণ্ঠে প্রত্যাবর্তন করেন।

শ্রীরাম-এর মৃত্যু কিভাবে হয়েছিলো ?

অযোধ্যার রাজা দশরথ ও কৌশল্যার জ্যেষ্ঠ পুত্ররূপে জন্মগ্রহণকারী ভগবান রামচন্দ্র। হিন্দু ধর্মে মর্যাদা পুরুষোত্তম নামে উল্লেখ করা হয়েছে, যার আক্ষরিক অর্থ যিনি বেদ,শাস্ত্র তথা ধর্মের মর্যাদা যথাযথভাবে রক্ষা করেছেন, ধর্মের পথ থেকে এতটুকুও সরে যাননি। ভগবান রামের অন্তর্ধান নিয়ে একটি পৌরাণিক বিবরণ আছে, একদিন রামকে জানানো হয় তার অন্তর্ধানের সময় এসেছে। তিনি বুঝতে পারেন,বিশ্বপালক হয়েও মানবরূপ গ্রহণ করেছেন, এবার সেই রূপকে লোকচক্ষুর অগোচর করার সময় এসে গেছে।

তিনি বললেন “যমকে আমার কাছে আসার সুযোগ দাও। কারণ আমার স্বর্গীয় ভুবন বৈকুণ্ঠে ফিরে যাওয়ার সময় হয়েছে। কিন্তু মৃত্যুর দেবতা যম অযোধ্যায় প্রবেশ করার সাহস করেননি। কেননা তিনি হনুমানকে ভয় পেয়েছিলেন। কারণ অযোধ্যায় প্রবেশ দ্বারে প্রাসাদের ফটকগুলি পাহাড়া দেয় রাম ভক্ত হনুমান।

যমের প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য হনুমানকে বিভ্রান্ত করা অতীব প্রয়োজন ছিল। তাই রাম তার হাতের আংটিটি প্রাসাদের মেঝেতে একটি গর্তে ফেলে দেন এবং হনুমানকে তা খুঁজে আনতে অনুরোধ করেন। হনুমান তখন ভগবান রামের আদেশ রক্ষার্থে নিজেকে পোকামাকড়ের আকারে ছোট করে গর্তে প্রবেশ করতে আবিষ্কার করেন।এটি কোন গর্ত নয় বরং এটি একটি সুড়ঙ্গের প্রবেশপথ যা নাগলোকের দিকে নেমে গিয়েছে। হনুমান সেখানে সর্পরাজ বাসুকির সাথে দেখা করেন এবং তাকে তার আসার কারণ জানান।

বাসুকি হনুমানকে নাগলোকের মধ্যস্থলে নিয়ে গেলেন, সেখানে একটি আংটির পাহাড় বিরাজমান ছিলো।

শ্রী রাম এর আংটির পাহাড়।

বাসুকি বললেন,”এখানে আপনি অবশ্যই শ্রীরামের আংটি পাবেন।হনুমান ভাবতে লাগলেন কিভাবে তিনি এটি করবেন,এ যে খড়ের গাদায় সুই খোঁজার মতই অসম্ভব। তিনি প্রথম যে আংটিটি তুললেন তা হল রামের আংটি। তারপর বিস্ময়ের সাথে দেখলেন, দ্বিতীয় যে আংটিটি তিনি তুললেন সেটিও তার প্রভুরই আংটি। প্রকৃতপক্ষে যে সকল আংটি দিয়ে সেই আংটির পর্বত গঠিত হয়েছিল সবগুলো আংটি ছিল একই রকম দেখতে।

বিস্মিত হয়ে তিনি বলেন”এর মানে কি? “বাসুকি বলেন “আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি তা জন্ম-মৃত্যুর চক্রের মধ্যে চলমান গতিতে রয়েছে। পৃথিবীর প্রতিটি জীবন চক্রকে এক কল্প রম্ভ।। প্রতিটি কল্পরম্ভের সহস্র চতুর্যুগ বা চতুর্থাংশ রয়েছে। তার মধ্যে কোনও এক ত্রেতাযুগে রাম অযোধ্যায় জন্ম নেন অবতার রুপে। তারপর একদিন তার আংটিটি একটি সুড়ঙ্গের মধ্যে নাগদের ভূগর্ভস্থ পাতাল রাজ্যে পড়ে যায়। একটি বানর তা অনুসরণ করে এবং পৃথিবীতে রামরাজ্যের অবসান হয়।এভাবে শত সহস্র কল্প হয়েছে। এই সমস্ত আংটিই সেই অতীত সত্যের সাক্ষ্য দিচ্ছে।”

বাসুকি আরও হনুমানতে বলেন এই আংটির পর্বত ক্রমে বর্ধিত হবে। এখনও অগণিত আংটির জন্য যথেষ্ট জায়গা রয়েছে।এর ইঙ্গিত কি বুঝতে পেরেছো হনুমান? ভবিষ্যতেও অনন্তকাল ধরে রামচন্দ্র বহুবার আবির্ভূত হবেন ।” হনুমান বুঝতে পারলেন, নাগলোকে তাঁর প্রবেশ এবং আংটি পর্বতের সাথে তাঁর মুখোমুখি হওয়া কোনও আকস্মিক ঘটনা নয়। প্রভু রাম তার তিরোধানের ইঙ্গিত দিয়েছেন ।

হনুমান সময়কে থামাতে পারেননি। রাম চলে যাবেন । পৃথিবীর প্রলয় হবে। কিন্তু সমস্ত কিছুর মতো, যখনই পৃথিবীর সৃষ্টি হবে তখনই শ্রীরাম পুনরায় জন্ম নিবেন। অনন্তকাল ধরে কালচক্রের মতই প্রভুর এই দিব্যজীবনের চক্র চলতে থাকবে।

পৌরাণিক তথ্য অনুসারে-

২।পদ্ম পুরাণে, রাম কীভাবে পৃথিবী থেকে অন্তর্ধান হয়েছিলেন তার সুস্পষ্ট লক্ষ্য করা যাবে-

অশ্বমেধ যজ্ঞ সফলভাবে সমাপ্তির পর, শ্রীরাম তার রাজদায়িত্ব স্বাভাবিক নিয়মে পালন করে যান। শত্রুঘ্ন লবণাসুরকে হত্যা করে মধুরাপুরী শাসন করেন; ভরত সিন্ধু নদীর উভয় তীরে শাসনকার্য শুরু করেন ও গন্ধর্বদের নিজের অধীন করে নেন; লক্ষ্মণ মদ্রদেশ জয় করে তাঁর পুত্রদের সেখানে রাজা হিসাবে স্থাপন করেন ও তিনি স্বয়ং রামের সেবার করার উদ্দেশ্যে অযোধ্যায় ফিরে আসেন। শ্রীরাম সীতার স্বর্ণপ্রতিমা স্থাপনের পর অশ্বমেধ যজ্ঞ করেছিলেন; একই পদ্ধতিতে রামচন্দ্র বেশ কয়েকটি যজ্ঞ করেন। ঋষি বাল্মীকি রামকে সীতার নিষ্কলঙ্কতা, শুচিতা সম্পর্কে বারংবার বোঝাতে থাকেন। শ্রীরাম অবশেষে স্বীকার করেন যে, প্রকৃতপক্ষে তিনি সীতার সতীত্ব ও পবিত্রতা পুরোপুরি অবগত ছিলেন। কিন্তু যেহেতু অভিযোগটি প্রজাদের থেকে এসেছে, তাই সীতার উচিত প্রজাদের সামনে তার সতীত্ব প্রমাণ করা।

সীতা তখন বিশাল রাজসভাতে উপস্থিত হয়ে ঘোষণা করেন, তিনি যদি তাঁর মন, চিন্তা, জিহ্বা বা কর্ম দ্বারা শ্রীরাম ব্যতীত অন্য কোনও পুরুষকে কামনা না করে থাকেন, তবে সীতাদেবীর মাতা পৃথিবী তাকে তার বুকে পুনরায় গ্রহণ করে নিয়ে যাবেন। তৎক্ষণাৎ ভূমিকম্প হল, এবং সীতা এক বিরাট ফাটলের মধ্যে প্রবেশ করলেন।

ভূমিদেবী স্বয়ং সীতাকে রসাতলে নিয়ে যান এবং সীতা ভগবান বিষ্ণুর বাহন গরুড়ের উপর বিরাজমান স্বর্ণসিংহাসনে আরোহণ করে বিষ্ণুলোকে গমন করেন। সীতার অন্তর্ধানের পর শ্রীরাম এগারো হাজার বছর রাজত্ব করেন।

এভাবে শ্রীরামের পৃথিবীতে পূর্বনির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল। একদিন কালপুরুষ (সময়ের নিয়ন্ত্রণকারী দেবতা) বৃদ্ধ তপস্বীর বেশে অযোধ্যায় শ্রীরামকে দর্শন করতে আসেন এবং তাকে বলেন, তিনি গোপনে ব্রহ্মার কাছ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা নিয়ে এসেছেন।তিনি শ্রীরামকে মনে করিয়ে দিতে উপস্থিত হয়েছেন যে, পৃথিবীতে শ্রীরামের আবির্ভাবের উদ্দেশ্যগুলি সম্পূর্ণ হয়েছে এবং তার বৈকুন্ঠে ফিরে যাওয়ার সময় হয়েছে। যখন তিনি শ্রীরামের সাথে কথা বলবেন তখন কেউ তার কক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না।

শ্রীরাম লক্ষ্মণকে ডেকে নির্দেশ দেন, যতক্ষণ তিনি তপস্বীর সাথে কথা বলছেন ততক্ষণ কাউকে যেন প্রবেশ করতে দেওয়া না হয়। তার আদেশ অমান্য করে যে কেউ প্রবেশ করলে সেই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড হবে। লক্ষ্মণ স্বয়ং দ্বার পাহাড়ার ভার গ্রহণ করে রামচন্দ্রকে বলেন, কেউ বিরক্ত করবে না।

রাম ও তপস্বীর মাঝে কথোপকথন
রাম ও তপস্বীর মাঝে কথোপকথন

তপস্বী রামকে জানান যে রাবণ, কুম্ভকর্ণ ও অন্যান্য রাক্ষসদের মৃত্যুর পর রাম এগারো হাজার বছর রাজত্ব করেছেন। এখন রামের পৃথিবী ছেড়ে বৈকুণ্ঠে ফিরে যাওয়ার সময় হয়েছে। যখন এই গোপন কথোপকথন চলছিল, তখন হঠাৎ মহর্ষি দূর্বাসা আসেন এবং শ্রী রামের সাথে দেখা করতে চান, কিন্তু লক্ষ্মণ দুর্বাসার বাক্য প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ব্রহ্মার একজন প্রতিনিধি গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথনে করছেন, তাই মুনি শ্রীরামকে দর্শন করতে পারবেন না। দুর্বাসা রাগান্বিত হয়ে লক্ষ্মণকে প্রবেশের অনুমতি না দিলে তাকে কঠোর অভিশাপের হুমকি দেন।

শীঘ্রই লক্ষ্মণ বুঝতে পারলেন, এই বিশেষ পরিস্থিতিটি কালপুরুষের সৃষ্ট নাটক ছাড়া আর কিছুই নয় , কালপুরুষ তাকে পৃথিবী থেকে অন্তর্ধান হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। তিনি কালপুরুষের আকাঙ্ক্ষা অনায়াসে পূর্ণ করেন। লক্ষ্মণ আদি অনন্তনাগস্বরূপ সহস্র ফণা ধারণ করে সরযূ নদীতে প্রবেশ করেন। বৃদ্ধ তাপসরূপী কালপুরুষের সাথে সাক্ষাতের পর, রাম বুঝতে পারলেন, লক্ষ্মণ পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন, তাঁরও ‘অবতার’ কার্য শেষ করার সময় এসেছে; তিনি কুশাবতী রাজ্যে কুশ এবং দ্বারাবতীতে লবকে রাজপদে প্রতিষ্ঠা করেন।

বাল্মিকী রামায়ণের উত্তরকাণ্ডেও অনুরূপ কাহিনী পাওয়া যায়, যেখানে কালপুরুষ ব্রহ্মার বার্তা রামচন্দ্রকে অবগত করে বলেন,হে বীর, আমি আপনার পুত্র। সৃষ্টির আদিতে আপনি আপনার মায়ায় আমায় সৃষ্টি করেছিলেন।

আমি কাল, সকলের বিনাশকারী। সমস্ত প্রাণীর পিতা ব্রহ্মা বলেছেন, আপনি ত্রিলোক রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। পূর্বে আপনার মায়ায় সমস্ত প্রাণী বধ করে আপনি ঘুমিয়ে ছিলেন। অতঃপর আপনি বিশাল দেহবিশিষ্ট নাগরাজ জলশায়ী অনন্তদেবকে সৃষ্টি করেছিলেন। তারপর আপনি মধু ও কৈটভ নামক শক্তিশালী দুই অসুর সৃষ্টি করেন। সেই সময় ঐ দুই অসুরের ‘মেদ’ বহুদূরে বহু পর্বতসমৃদ্ধ এই পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে ছিল,তাই পৃথিবীর নাম হয় ‘মেদিনী’। আপনার নাভিপদ্মে আমাকে উৎপন্ন করে স্বর্গীয় দীপ্তিশালী হয়ে আপনি আমাকে ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকার্যে নিয়োজিত করেছেন। আমি দায়িত্ব নিয়ে প্রাণীদের সৃষ্টি করেছিলাম; কিন্তু তাদের রক্ষার অন্য কোন উপায় না পেয়ে আমি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধিপতি আপনারই উপাসনা করলাম এবং বললাম হে প্রভু, আপনি প্রাণীদের রক্ষা করুন, কারণ আপনি আমার পিতা ও শক্তিদাতা। আপনি অদম্য। অতঃপর প্রাণীদের রক্ষার জন্য আপনি আপনার বিষ্ণুরূপ ধারণ করেছিলেন। অদিতির শক্তিশালী পুত্ররূপে আবির্ভূত হয়ে আপনি আপনার ভ্রাতাদের আনন্দ বর্ধন করেছিলেন। দেবতারা যখনই কোনো বিপদে আক্রান্ত হতো তখন আপনিই তাদের রক্ষা করেছিলেন।

হে বিশ্বজগতের অধিপতি, এই কারণেই জীবের দুঃখ দেখে দশগ্রীবকে বধ করার জন্য আপনি পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছেন। আর সেই সময় আপনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, এগারো হাজার বছর মর্ত্যলোকে বাস করবেন। আপনি আপনার আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য মানব রূপ ধারণ করেছেন। এখন সেই সময়কাল সম্পূর্ণ হয়ে গেছে এবং এটিই আপনাকে জানানোর উপযুক্ত সময়। হে মহারাজ, আপনি এই মরণশীল দেশে অপেক্ষা করতে পারেন যদি আরও কিছুকাল প্রজাদের শাসন করতে চান। আর যদি আপনি দেবতাদের নিয়ন্ত্রণ করতে চান , তবে আপনি আবার আপনার বিষ্ণুস্বরূপে দেবতাদের উপর প্রভুত্ব করুন, তাদের উদ্বেগ থেকে মুক্তি দান করুন।

শ্রীরামের কাছ থেকে ইঙ্গিত পেয়ে বিভীষণ, সুগ্রীব, জাম্ববান, হনুমান, নীল, নল, সুষেণ ও নিষাদ রাজ গুহক তার কাছে উপস্থিত হলেন। শত্রুঘ্ন অযোধ্যায় তাঁর পুত্রদের রাজ্যাভিষেক করেন। অযোধ্যার প্রজারা শ্রীরামকে বলেন, রামের অনুপস্থিতিতে তারা এক মুহুর্তের জন্যও পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চান না। রাম বিভীষণকে লঙ্কায় দীর্ঘকাল রাজত্ব করার নির্দেশ দেন। শ্রীরামচন্দ্র হনুমানকে শ্রীরামের মাহাত্ম্য প্রচার করার জন্য পৃথিবীতে চিরঞ্জিবী হওয়ার বর প্রদান করেন।

প্রজাদের সাথে শ্রীরাম স্বেচ্ছায় পবিত্র সরযূ নদীতে চলে যান। ভরত, শত্রুঘ্ন, অযোধ্যার সমস্ত প্রজা এবং তাদের স্ত্রী, মন্ত্রী, সেবক, বৈদিক ব্রাহ্মণ,পশু, পাখি, অন্যান্য সমস্ত প্রাণী শ্রীরামের সঙ্গী হন, আর তারা কখনও পিছনে ফিরে তাকাননি।

রামের সরযূ নদীতে স্বেচ্ছায় অবগাহন করে গভীরে প্রবেশ করা।

শ্রীরাম তখন প্রজাদের সাথে নদীতে অবগাহন করে গভীরে প্রবেশ করলেন। তখন ব্রহ্মা, দেবগণ, ঋষিগণ এবং সমস্ত স্বর্গীয় গ্রহলোকবাসীগণ রঘুনাথের প্রশংসা করছিলেন, এরপর তিনি শঙ্খ, চক্র,গদা,পদ্ম সমন্বিত চতুর্ভুজ মহাবিষ্ণুরূপ ধারণ করেন।

ভরত শঙ্খের অংশ ছিলেন, শত্রুঘ্ন চক্রের অংশ। এভাবে শ্রীশক্তি ও ভু-শক্তির সাথে তিনি শোভা পেতে লাগলেন,এবং সমস্ত প্রজাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি বৈকুন্ঠের অন্তর্গত সাকেতধামে(অযোধ্যায়) প্রবেশ করলেন। প্রজাদের একাংশ ব্রহ্মলোক লাভ করেন। শ্রীরামচন্দ্রের অন্তর্ধানের পর অযোধ্যা নগরী বহুকাল জনশূন্য ছিল। পরবর্তীকালে কোনও এক রাজা পুনরায় অযোধ্যাতে প্রজাপূর্ণ করে রাজ্য পরিচালনা করেছিলেন।

শ্রীরামের আবির্ভাব, অন্তর্ধান ইত্যাদি কার্য কল্পভেদে বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে।

রাম কি ভগবান?

রাম হিন্দু ধর্মের একটি প্রধান দেবতা। তিনি বিষ্ণুর সপ্তম এবং অন্যতম জনপ্রিয় অবতার । হিন্দুধর্মের রাম-কেন্দ্রিক ঐতিহ্যে, তাকে পরম সত্তা হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

বিভীষণের স্ত্রীর নাম কি ছিল?

বিভীষণের স্ত্রী ছিলেন সরমা, যিনি বিভীষণকে খারাপ পথ থেকে ভালো পথে আসতে উদ্বুদ্ধ করেন।

বিয়ের সময় রাম সীতার বয়স কত ছিল?

বাল্মীকি রামায়ণ অনুযায়ী বিবাহের সময়ে রামের বয়স ছিল ১৩ ও সীতার বয়স ছিল ৬।

রাখী বন্ধন কি এবং কেন ? রাখী বন্ধনের ইতিহাস ও তাৎপর্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top