ষষ্ঠীপূজা কেন করা হয় ও ষষ্ঠী পূজার সময়সূচি এবং উপকরণ সমূহ।

ষষ্ঠী পূজা :

ষষ্ঠীদেবী বা ষষ্ঠীঠাকুর হলেন বঙ্গীয় ও বহির বঙ্গীয় সনাতন (হিন্দু )ধর্মাবলম্বী এক পৌরাণিক দেবী। ইনি মূলতঃ সন্তানদাত্রী ও তাহার রক্ষাকর্ত্রী দেবী; তার কৃপায় নিঃসন্তান দম্পতিদের সন্তান লাভ হয় এবং তিনিই সন্তানের রক্ষাকর্ত্রী, পুরাণ মতে যেহেতু তিনি আদিপ্রকৃতির ষষ্ঠাঙ্গ অংশভুতা তাই তাহার নাম ষষ্ঠী দেবী

ষষ্ঠীপূজা কেন করা হয় ও ষষ্ঠী পূজার সময়সূচি এবং উপকরণ সমূহ।
ষষ্ঠীপূজা কেন করা হয় ও ষষ্ঠী পূজার সময়সূচি এবং উপকরণ সমূহ।

ষষ্ঠী পূজার করার কারণ:

ষষ্ঠী পূজা সন্তানাদির মঙ্গল কামনায় করা হয।দেবী ষষ্ঠী কে সন্তানের রক্ষাকারিণী দেবী হিসেবেই মানা হয় এবং ষষ্ঠী দেবীর পূজো করে, কামনা করা হয়, তিনি যেন সন্তানকে নীরোগ দেহ এবং দীর্ঘায়ু করেন, সকল প্রকার আপদ, বিপদ থেকে রক্ষা করেন।পূজোর শেষে সন্তানের হাতে বা সন্তানতুল্য কারোর হাতে, একটি লাল সুতো বেঁধে দেয়া হয়।

14 culturistas veganos que te harán repensar todo oxandrolona precio bodybuilder muscles gif – bodybuilder muscles funny – descubre & comparte gifs

 (বিপদতারিণী বা বিপদনাশিনী পুজোয় ও হাতে এরকম সুতো বাঁধার রীতি রয়েছে)

মনে করা হয় যে, দেবীর আশীর্বাদপ্রাপ্ত এই সুতো সন্তানকে সমস্ত অমঙ্গল থেকে বাঁচিয়ে রাখবে।ষষ্ঠীদেবীর কল্পিত মূর্তিতে দেখা যায়, তাঁর কোলে বা হাতে ধরা রয়েছে, সন্তান এবং বাহন হিসেবে একটি বিড়াল রয়েছে।দুটোই প্রতীকী।সন্তান কোলে, বা সন্তান কে হাত দিয়ে ধরে রাখা অর্থাৎ, মা যেমন করে সন্তানকে আগলে রাখেন সেটারই একটা বার্তা, আর বিড়াল বাহন, অর্থাৎ, বিড়াল যেমন খুবই যত্ন করে তার ছানাগুলোকে বাঁচিয়ে রাখে। তেমন করেই ষষ্ঠীদেবী ও সব মানব সন্তানকে সুরক্ষায় রাখবেন।

ষষ্ঠী পূজার সময়সূচি:

দূর্গা পূজার সময় আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয়া দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই পাঁচটি দিন যথাক্রমে “দুর্গাষষ্ঠী”, “মহাসপ্তমী”, “মহাষ্টমী”, “মহানবমী” ও “বিজয়াদশমী” নামে পরিচিত। আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে শুক্ল পক্ষকে বলা হয় “দেবীপক্ষ”। শারদীয়া দুর্গাপূজাকে “অকালবোধন” বলা হয়। আর এ সময় বোধন এর মধ্য দিয়ে দূর্গা পূজা শুরু হয়।

পূজার উপকরণ সমূহ:

অনেক গ্রামে বট-অশ্বত্থ বৃক্ষমূলে ‘ষষ্ঠীতলা’ বলে নির্দিষ্ট স্থানে বিভিন্ন ষষ্ঠীদেবী নির্দিষ্ট তিথিতে পূজিতা হয়ে থাকে। মূলত এ পূজায় গৃহস্থ নারীরা তেল-হলুদ-দই, ঘট, বটের ইত্যাদি উপকরণের মাধ্যমে পূজা নির্বাহ করে থাকেন, পূজাশেষে ‘ব্রতকথা’ শ্রবণ করে স্নান সেরে বাড়ি ফিরে ফলাহার করেন। বটতলাই হলো ষষ্ঠীর আটন। ষষ্ঠীপূজার জন্য নৈবেদ্য হিসাবে ফলমূল এবং মিষ্টান্ন আবশ্যক। ‘পরব’ করতে হয়। এতে লাগে ২১ খানা গুড়পিঠা এবং এস্কাপিঠা। এক ডালা খই ভাজতে হয়। এক ছড়া (১২টি) কাঁঠালীকলা (রম্ভা), আখগাছ, কেয়াগাছ, তালপাতা, ‘লেখন’ (লোহার তৈরি) ইত্যাদি সামগ্রী দিয়ে ষষ্ঠীপূজা করা হয়। ষষ্ঠীর প্রধান নৈবেদ্য হল ২১ টি পিঠা। ষষ্ঠীপূজা উপলক্ষে দেওয়ালে ষষ্ঠীর চিত্রআঁকা ছাড়াও ‘ঘটস্থাপন’ করতে হয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়ে বটের পাতা, আমের পাতা, তেল হলুদ, দই, ধান, দুর্বা, তুলসী পাতা, ফুল ইত্যাদি। ষষ্ঠীপুজোর জন্য পুরোহিত থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অবশ্য বাড়ির মহিলারাই এই পুজো করে থাকেন। এজন্য তাঁরা মেনে চলেন বেশ কিছু আচার এবং উপচার।

ষষ্ঠী পালা:

ষষ্ঠীদেবীর মাহাত্ম্য প্রচারের জন্য সৃষ্ট ‘ষষ্ঠীমঙ্গল’ পালার গীতিনাট্যাভিনয় অনেক সন্তানহীনের গৃহে সন্তানের কামনায় বা সন্তানলাভের পর মানসিক পূরণের পর অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গের উড়িষ্যা-সন্নিহিত মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় এই পালার প্রচলন আছে।

আর ও দেখুন:

পতিতালয়ের মাটি ছাড়া মা দুর্গার মূর্তি গড়া হয় না কেন ?

জ্যৈষ্ঠ অমাবস্যার সময়সূচি ও গুরুত্ব। জৈষ্ঠ অমাবস্যায় বিষয়াবলী।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top